রোববার,জানুয়ারি ৩১, ২০১৬, মাঘ ১৮, ১৪২২

গুরুত্বারোপ

গার্মেন্ট শ্রমিকের সাতকাহন

ড. এ কে এনামুল হক | ২০১৬-০১-৩১ ইং

       
গার্মেন্ট শ্রমিকের সাতকাহন

গার্মেন্ট শিল্পে বাংলাদেশের জুড়ি নেই। ১৯৮০ সালের দিকে এর যাত্রা। গত ৩৫ বছরে এ শিল্প দেশকে ছাপিয়ে বিশ্বখ্যাত হয়েছে। কী দিয়ে কী হলো, তা জানতে অনেক গবেষণার প্রয়োজন। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি এখনো। তবে সবাই জানে, বাংলাদেশ গার্মেন্টে বিশ্বসেরা। আমাদের প্রতিযোগী আর কেউ নয়, আমাদের প্রতিযোগী চীন। চীন বিশ্বে প্রথম আর আমরা দ্বিতীয়। আমার ধারণা, এ সংবাদ সবাই জানে। আমাদের অনেকেরই গর্ব হয় এ শিল্প নিয়ে। কিন্তু আমাদের এ শিল্পের সঠিক তথ্য নেই। একসময় মনে হতো, বিশ্বের যে শহরেই যাই না কেন, চায়নিজ খাবার মিলবেই। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের একটি খেলনায় হাত দিলেই দেখা যাবে তা চীনে তৈরি। একবার আমার এক চীনা বন্ধু প্যান জিয়াওবকে একজন জিজ্ঞেস করল, বিশ্বের সব শহরেই কেন চীনা লোক থাকে? চীনে কি জায়গা হয় না? জুতসই একটি জবাব দিয়েছিল প্যান; বলল, ‘তোমরা তো কমই দেখছ। বিশ্বের প্রতি চারজনে একজন মানুষ চীনা। তোমাদের দেশে এখনো তা হয়নি। তাই আমার মনে হয়, আমাদের আরো বেশি সংখ্যায় তোমাদের শহরগুলোয় আসা উচিত।’

কিন্তু কখনো ভাবিনি, বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে কোনো কাপড় কিনলে তাতে মেড ইন বাংলাদেশ দেখতে পাব। তা-ই শেষ পর্যন্ত হয়েছে। ভারত এখন মেড ইন ইন্ডিয়া স্লোগান দিচ্ছে। আর বাংলাদেশ সেই দেশ, যেখানে তুলা উত্পাদন হয় না, নেই শত শত গার্মেন্ট ডিজাইনার, অথচ আমরা ভারত কিংবা পাকিস্তান, যারা বিশ্বের অন্যতম তুলা উত্পাদনকারী দেশ, তাদের তুলা কিনে এনে কাপড় তৈরি করে হয়ে গেছি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বস্ত্র রফতানিকারক দেশ। আমাদের প্রতি ঈর্ষা তো হবেই।

তার মধ্যে আছে দুর্ঘটনা। শিল্পে দুর্ঘটনা ঘটবেই। ৫০-৬০ লাখ শ্রমিক যেখানে কাজ করেন, যে দেশ দুর্নীতিতে ১৯৯৮ সাল থেকে নিয়মিত বোমা ফাটিয়েই যাচ্ছে, যে দেশে শিল্পের চেয়ে ব্যবসায় বেশি মুনাফা করা যায়, যে দেশে কমিশন কামাই করে কোটিপতি হওয়া যায়, সেখানে শিল্প-কারখানায় অনিয়ম থাকবে না, তা হতে পারে না। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে, দুর্ঘটনাই আমাদের সংবাদ। এ অবস্থায় ২০১৪ সালে আমার ধারণা হলো যে, এ শিল্প সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করা। আমার বিশ্বাস, নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত থাকলে দুর্ঘটনা কেবল দুর্ঘটনা হিসেবেই থাকবে। গোটা শিল্পে তার ছায়া পড়বে না।

২০১৪ সালের শেষের দিকে এ শিল্পে দৈবচয়নের ভিত্তিতে প্রায় ১৭৩টি কারখানা ও ১ হাজার ২০৪ জন শ্রমিকের কাছ থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল নিরপেক্ষভাবে শিল্প শ্রমিকের অবস্থা যাচাই করা। তখনো আমরা জানি না, শেষ পর্যন্ত কী পাব এ গবেষণায়। আমাদের লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট। গার্মেন্ট শিল্প কি আমাদের শ্রমিকদের ভাগ্য ফিরিয়েছে (আমরা জানি যে, তা আমাদের শিল্পমালিকদের ভাগ্য ফিরিয়েছে)? গার্মেন্টে কাজ করে কি এই শ্রমিকরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বেশি ব্যয় করছেন? এই প্রথম একটি শিল্পে সংঘবদ্ধভাবে নারী শ্রমিক যোগ দিয়েছেন, তার ফলে তারা কি অন্য সবার চেয়ে বেশি পারিবারিক ক্ষমতা ভোগ করেন? প্রশ্নগুলোর উত্তর যতটা সহজে পাব বলে ভেবেছিলাম, তা হয়নি। কারণ তুলনা করার মতো যথেষ্ট প্রাথমিক তথ্য আমাদের হাতে নেই। তথ্য সংগ্রহের শুরুতেই ধাক্কা খেলাম। আমি হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলাম। ওপেনহার্ট অপারেশনের পর সম্পূর্ণ সুস্থ হতে বেশ সময় লাগল, তবে কাজ একেবারে বন্ধ হলো না। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে আমার কিছু ছাত্রের সহায়তায় তথ্য সংগ্রহ শেষ করা গেল। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

যাহোক, কী পেলাম এই উপাত্ত থেকে? এককথায় বলতে গেলে, আমি অবাক হলাম। কিছু তথ্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। জানি না, আপনারা অবাক হবেন কিনা।

১. শ্রমিকদের প্রায় ৭৪ শতাংশ গত ৩০ বছরে নগরবাসী হয়েছে। একসময় যে শ্রমিক শহরে একা এসেছিল, এখন সে আর একা নয়; পরিবারসহ শহরে বাস করে। মাত্র ২২ শতাংশ বাস করে মেস বা হোস্টেলে। অবশিষ্ট ৪ শতাংশের কেউ নেই। কখনো ভাবিনি গার্মেন্ট শিল্প প্রায় ২ লাখ এতিমের বাঁচার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।

২. গার্মেন্ট শ্রমিক পরিবারের স্বামী-স্ত্রী দুজনই কর্মজীবী। তবে প্রায় ৩ শতাংশ নারী শ্রমিকের পরিবারে কোনো কর্মক্ষম পুরুষ নেই। তিনি একাই কাজ করে সংসার চালান। একইভাবে প্রায় ২ শতাংশ পুরুষ শ্রমিকও পরিবারে এককভাবে কাজ করে সংসার চালান। তবে দুই দলের কেউই একা থাকে না। তাদের সঙ্গে আছে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা। আর প্রায় ১৩ শতাংশ নারী শ্রমিক মনে করে, সংসার সে-ই চালায়। ক’জন সক্ষম বাংলাদেশী নারী এ সক্ষমতার কথা গর্বের সঙ্গে বলতে পারবেন?

৩. শ্রমিকদের পরিবারে শিক্ষার আলো পৌঁছাচ্ছে। অনেকেরই পরিবার ছোট। গড়ে পরিবারে সদস্য সংখ্যা চারজন, যা বাংলাদেশের গড় থেকে ছোট। ছোট পরিবারে তারা শিক্ষার বাতি জ্বালিয়েছে। সবাই পড়াশোনা করে। কি ছেলে কি মেয়ে সাত বছর বয়স বা তার বড় সবাই স্কুলে যায়। শুধু তা-ই নয়, কন্যা সন্তানের ১২ শতাংশ আর ছেলে সন্তানের প্রায় ৭ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছে।

৪. ৯৮ শতাংশের বাড়িতে পানি সরবরাহ রয়েছে, অথচ ৬৭ শতাংশের পৈত্রিক বাড়িতে এখনো কোনো পানি ব্যবস্থা নেই। যে ২ শতাংশের বাড়িতে পানি সরবরাহ নেই, তাদের ৪৫ শতাংশ পানি নিকটস্থ       ওয়াসা থেকে সংগ্রহ করে। ৮১ শতাংশের বাড়িতে রয়েছে পানিসহ স্যানিটারি ল্যাট্রিন।

৫. গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকরা সাতটি বেতন কাঠামোতে বিভক্ত। তাদের গড় মাসিক বেতন ৬ হাজার ৮২০ আর পরিবারের গড় আয় ১৫ হাজার ৭১৯ টাকা। সর্বনিম্ন দুটি গ্রেডের শ্রমিকের গড় মাসিক বেতন যথাক্রমে ৬ হাজার ৩০০ ও ৫ হাজার ৬০০ টাকা। আর তাদের পরিবারের গড় আয় ১৫ হাজার ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ৬০০ টাকা। সর্বোচ্চ গ্রেডের শ্রমিকের মাসিক গড় বেতন ১৯ হাজার আর তাদের পারিবারিক গড় আয়ও ১৯ হাজার ৯০০ টাকা। অর্থাত্ উপরের স্তরে কর্মরত শ্রমিক পরিবারে উপার্জনকারী একজন। ৫৯ শতাংশ পরিবারে একজন উপার্জনকারী, ২৯ শতাংশ পরিবারে দুজন উপার্জনকারী আর বাকিদের তিন বা তদূর্ধ্ব উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আছে।

৬. ৮৭ শতাংশ শ্রমিকের পরিবারে রয়েছে সেলফোন, ৮৪ শতাংশের বাড়িতে বৈদ্যুতিক ফ্যান আছে, ৭৫ শতাংশের নিজস্ব বাড়ি আছে, ৬৮ শতাংশের রয়েছে টিভি, ৫৮ শতাংশের বাড়িতে চেয়ার-টেবিল আছে, ৫৬ শতাংশের বাড়িতে আছে দেয়াল ঘড়ি। শ্রমিকের বাড়িতে জীবনমান যাচাই করার জন্য এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।

৭. আয়ের ৪০ শতাংশ খরচ করে খাবারদাবারে, ৩০ শতাংশ খরচ করে বাড়ি ভাড়া বা বসতবাড়িতে, ১১ শতাংশ আয় পাঠিয়ে দেয় গ্রামের বাড়িতে। সেলফোন ও কসমেটিকস বাবদ মাসিক খরচ হয় প্রায় ৬০০ টাকা প্রতি পরিবারে। শিক্ষা খাতে পরিবারপ্রতি গড় খরচ ৬৬৭, আর স্বাস্থ্য খাতে গড় খরচ ৬০৪ টাকা।

৮. দৈনন্দিন খাবারে ডাল-ভাতের বাইরে রয়েছে রুটি। অর্থাত্ গম এখন কর্মজীবী পরিবারেরও নিত্য খাবার। রয়েছে পেঁয়াজ-মরিচসহ নানা মসলা আর ভোজ্যতেল; যা এখনো বাংলাদেশের গরিব জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন খাবার তালিকায় নেই। সাপ্তাহিক খাবার তালিকায়ও এসেছে পরিবর্তন। মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ তাদের সাপ্তাহিক খাবার তালিকায় এসেছে। তবে মিষ্টিজাতীয় খাবার কিংবা ফল ও সবজি এখনো প্রতি সপ্তাহের খাবারে নেই।

৯. পরিবারের দৈনন্দিন ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে নারী শ্রমিকের নজরদারি কিংবা অধিকার বেড়েছে সামগ্রিকভাবে। বাড়ি ভাড়ার সিদ্ধান্ত, সন্তানের চিকিত্সা ও শিক্ষা-বিষয়ক সিদ্ধান্ত, নিজের জন্য কিছু কেনাকাটা, বিশেষ করে কসমেটিকস কিংবা সেলফোন ব্যবহার করা, কোনো সম্পদ ক্রয় বা বিক্রয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে, চিকিত্সা বিষয়ে কিংবা স্বামীর কর্মস্থল নির্বাচনে নারী শ্রমিকরা এখন অনেক বেশি ক্ষমতা প্রয়োগ করে বলে জানিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ নারী শ্রমিক।

১০. ৯৩ শতাংশ নারী শ্রমিক মনে করে যে, গার্মেন্ট শিল্পে কাজ করে তারা পরিবারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার বাড়িয়েছেন। আর ৯৮ শতাংশ মনে করে, এ শিল্প তাদের স্বাবলম্বী করেছে।

১১. ৮৬ শতাংশ কারখানায় রয়েছে ক্যাফেটারিয়া। তবে মাত্র ৫৬ শতাংশ শ্রমিক তা ব্যবহার করে। ৯৯ শতাংশ কারখানায় রয়েছে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, কিন্তু ৯২ শতাংশ শ্রমিক তার ব্যবহার-সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ পেয়েছে। ৮১ শতাংশ কারখানায় রয়েছে শিশু পরিচর্যার ব্যবস্থা, কিন্তু ১৪ শতাংশ মা তা ব্যবহার করে। ৯৩ শতাংশ শ্রমিক কাজের মাঝে একবার বিশ্রাম নেয়। ৬ শতাংশ বিশ্রাম নেয় দুবার, বাকিরা তারও বেশি। ২৬ শতাংশ শ্রমিক কাজের সময় দাঁড়িয়ে থাকে, ৫০ শতাংশ বসে কাজ করে, বাকিরা দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করে। ৭১ শতাংশ শ্রমিক কোনো না কোনো মেশিন অপারেট করে। ৯৮ শতাংশ শ্রমিক জানিয়েছে, তারা প্রয়োজনে ছুটি পায়। গত বছর বেতনসহ ছুটি নিয়েছে প্রতি শ্রমিক ছয়দিন এবং ৭২ শতাংশ শ্রমিক এ ধরনের ছুটি উপভোগ করেছে। ২ শতাংশ নারী শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে নিগ্রহের কথা জানিয়েছে, আর তাদের ৬৭ শতাংশ জানিয়েছে যে, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন বা পেয়েছেন।

বলতে পারেন, এর বাইরে কি কিছু পাওয়া যায়নি? সবই তো ভালো বলা হলো। ওই যে বললাম, আমাদের দেশে দুঃসংবাদ দেয়ার লোকের অভাব নেই। সুসংবাদের বড় অভাব। এ সুসংবাদের দ্বারা অবশ্য আমি দুঃসংবাদকে আড়াল করছি না।

খোদ ব্রিটেনের একটি উপাত্ত দিই। ২০১৪-১৫ সালে যুক্তরাজ্যে কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪২ জন শ্রমিক, যা গত বিশ বছরের হিসাবে অর্ধেকে নেমে এসেছে। ৭৬ হাজার শ্রমিক দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছেন। কী কী রকমের দুর্ঘটনা হয়েছে? উঁচু স্থান থেকে পড়ে গেছে প্রায় ২৬ শতাংশ, প্রায় অর্ধেক দুর্ঘটনা ঘটেছে নির্মাণকাজে, কিছু ভেঙে আটকে গিয়ে আঘাত পেয়েছে ১২ শতাংশ শ্রমিক। যান্ত্রিক আঘাত পেয়েছে ৮ শতাংশ শ্রমিক। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর গড়ে ৫০৮ জন শ্রমিক কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে। ২০১৪ সালে সেখানে ৩০ লাখ শ্রমিক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৯৫ শতাংশ ছিল আঘাত। সেখানের বস্ত্র খাতে দুর্ঘটনাকবলিত শ্রমিকের সংখ্যা ২০১৪ সালে ছিল ৭ হাজার ৫০০ জন, যা ৭-৯ শতাংশ।

সবশেষে এসব উপাত্ত থেকে এই ধারণা নেয়া ঠিক হবে না যে, দুর্ঘটনা হবেই। দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সবাইকে যেমন সজাগ থাকতে হবে, তেমনি দুর্ঘটনা ঘটলেই সব প্রাপ্তি ম্লান হবে না। আমাদের গার্মেন্ট শিল্প আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। আর তা আমাদের নারী শ্রমিকদের একমাত্র নির্ভরযোগ্য কর্মস্থল। 

 

লেখক: অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক

এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের পরিচালক


© 2011-2016
সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ
বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ : বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫
ই-মেইল: news@bonikbarta.com বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ পিএবিএক্স: ৮১৮৯৬২২-২৩, ফ্যাক্স: ৮১৮৯৬১৯
close
'); mywindow.document.write(data); mywindow.document.write(''); mywindow.print(); mywindow.close(); return true; }