সম্পাদকীয়
বৃত্তের বাইরে : শিক্ষায় পাসের হারের অর্থনীতি
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। ভাই-বোনদের সবাই একসঙ্গে ঈদ করার আনন্দটাই আলাদা। সবাই বসে মজা করছি, তখনই বিষয়টা মাথায় এল। মূলত কী নিয়ে লিখব, তা মেলাতে পারছিলাম না। অর্থনীতি না রাজনীতি। অর্থনীতির বাইরে যেতে মন চাইছিল না। তাই বণিক বার্তার তাগাদা সত্ত্বেও লিখতে পারছিলাম না। এক বন্ধু বেড়াতে এসেই বিষয়টি মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিল। ওর মনে একটি বিরাট প্রশ্ন, আজকাল পরীক্ষায় পাস কি রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়?
বলা বাহুল্য, আমাদের আলোচনা ছিল এইচএসসি পাস বিষয়ে। বুঝতেই পারছেন, হাজার হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পাওয়ায় অনেকেই তা রাজনৈতিক বিবেচনায় পাস বলে ভাবছেন। এ প্রশ্নের উত্তরে আমি ঠিক একই বিষয় ভিন্নভাবে ভাবছিলাম। নিজে যখন এইচএসসি পাস করেছি, তখন মানবিক বিভাগে ২০ জনের নাম মেধাতালিকায় আসেনি। কারণ মাত্র ১৪ জন প্রথম বিভাগ পেয়েছিল, সেখানে এ বছর এইচএসসিতে পাস করেছে ৭৪ শতাংশ আর জিপিএ ৫ পেয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। আমাদের সময়ের তুলনায় বিষয়টি চমকপ্রদ। আর তাই আমাদের বয়সের অভিভাবকদের অধিকাংশই বিষয়টি মানতে পারছেন না।
পাল্টা প্রশ্ন মাথায় এল। আমাদের সময়ের চেয়ে এখন কি অভিভাবকরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর পেছনে বেশি অর্থ ব্যয় করছেন না? কিংবা এভাবে কি বলা যায় যে, যেখানে আমরা মাঠে-ঘাটে খেলাধুলা করে বেড়িয়েছি, তার চেয়ে এখনকার ছেলেমেয়েরা কি বেশি সময় পড়াশোনার প্রস্তুতিতে ব্যয় করে না? তখন কি এখনকার মতো এতসব সহায়ক সামগ্রী ছিল? স্কুল আছে সেসঙ্গে আছে স্কুলের কোচিং, বাসায় কোচিং, ভ্যাকেশনে কোচিং, ক্রাশ কোর্স, মক পরীক্ষা, অনলাইন খান একাডেমির মতো ব্যবস্থা, আছে নোট বুক (ভিন্ন নামে), আরো আছে পত্রপত্রিকায় শিক্ষার্থী পাতা। সব মিলিয়ে ব্যবস্থার কমতি নেই। তার পরও পাসের হার মাত্র ৭৪ শতাংশ? বাকি ২৬ শতাংশ কি করেছে? অথচ আমরা সবাই শিক্ষার্থীদের সাফল্যকে হেয় করছি— কেন? কেন তাদের সাফল্যকে রাজনৈতিক বলে আখ্যায়িত করছি? অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে সবসময় জেনে এসেছি বিনিয়োগ বাড়লে উৎপাদন বাড়ে। আর আমরা কিনা অতি সহজে বিষয়টিকে রাজনৈতিক বলে ব্যাখ্যা বা অপব্যাখ্যা করছি। বিনিয়োগ যদি কেবল সরকার করত, তাহলে ভাবতাম বিনিয়োগ হয়েছে নামমাত্র কিন্তু এ বিনিয়োগ পিতা-মাতার। তারা কি বিনিয়োগ করবেন না বুঝে? অর্থনীতির একটি প্রমিত সত্য আছে, তা হলো সব মানুষ নিজের ভালো বুঝতে পারে। তাহলে কি আমাদের অভিভাবকরা সন্তানের ভালো-মন্দ বুঝতে পারেন না? না বুঝেই এই কোটি টাকার বাণিজ্য চলছে? আমার বিশ্বাস হয় না।
সঙ্গে সঙ্গে আরো কয়েকটি ধাঁধা মাথায় এল। মনে পড়ে গেল, কয়েক বছর আগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মাত্র দুজন শিক্ষার্থী ইংরেজিতে (মূলত উচ্চতর ইংরেজি) পাস করেছিল। তাহলে কি সত্যিই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার অপমৃত্যু হয়েছে? বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, জিপিএ ৫ প্রাপ্ত অনেকে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করছে। আবার এ বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের এক ছাত্র এমন একটি সমস্যার সমাধান করেছে, যা পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত কেউ সমাধান করেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর গত বছরের ফলাফল দেখে ক’দিন আগে আমি হতবাক হয়েছি। বহু জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রী শেষ পর্যন্ত ৩ দশমিক ৫ গড় জিপিএ ধরে রাখতে পারেনি। অন্যদিকে তাদের সহপাঠী, যাদের জিপিএ ৫ ছিল না, তাদের বেশ কয়েকজন ৩ দশমিক ৫-এর উপরে জিপিএ ধরে রেখেছে। সব মিলিয়ে বিষয়টি আমার মাথায় বেশকিছু ধারণার সৃষ্টি করেছে।
এক. জিপিএ ৫ হলেই শিক্ষার্থী ভালো, অন্যরা নয়— এমন ধারণা সত্য নয়। দুই. বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকের, তাই এখানে ভালো শিক্ষার্থী হতে হলে মুখস্থবিদ্যায় অনেক সময়ই কাজ হয় না। সৃজনশীল প্রশ্ন মোকাবেলায় এদের অনেকেই তৈরি না। আমাদের যদি এ ধারণা হয়ে থাকে যে, বোর্ডের জিপিএ ৫ মানেই সেরা শিক্ষার্থী, তবে তা মানা কষ্টকর হবে। বহু জিপিএ ৫ প্রকৃত ভালো শিক্ষার্থীর দলে ছিল না এবং নেই। তারা মুখস্থ করে সফল হয়েছে। তবে অমনোযোগিতার জন্য অনেক ভালো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শেষ পর্যন্ত ভালো ফল করতে পারে না— এমন উদাহরণও শত শত। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যেসব বিষয়ে নিজের উত্কর্ষের মূল্য রয়েছে, সেসব বিষয়ে কেবল পরিশ্রমী ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা শেষ হাসি হাসে।
প্রসঙ্গক্রমে আলোচনার টেবিলে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এসে গেল। কথায় কথায় জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গ এল। কেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জঙ্গি হলো, তাও আলোচনায় এল। বলে রাখা ভালো, আমি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রথম দিককার শিক্ষকদের একজন। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম ১১ বছর আমরাই এ বিদ্যাপীঠকে গড়ে তুলেছিলাম। তাই এই বিদ্যাপীঠ সবসময়ই আমাদের প্রাণে থাকে। তার ভালো-মন্দের সঙ্গে নিজেদের সাফল্য-ব্যর্থতা কেন যেন যুক্ত হয়ে যায়। ২০০২ সাল কিংবা তার পর কোনো একসময়ে আমি কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে যাচ্ছিলাম এক গবেষণাকাজে, হাকালুকি হাওড় দেখতে। তখন বাংলাভাইদের গর্জন। পথে আমার এক ছাত্র প্রশ্ন করে বসল, স্যার মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করা উচিত। তারা জঙ্গি তৈরি করছে। তখন বলেছিলাম দেখ, শিক্ষা ব্যবস্থা কখনই সন্ত্রাসী কার্য সৃষ্টি করে না। শিক্ষা তোমাদের মনে প্রশ্ন তৈরি করে আর সমাজকে জানতে শেখায়। তোমাদের অশিক্ষার্থীজাতীয় কর্মকাণ্ড, যেমন— মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা কিংবা অপরাধ করা, তার সঙ্গে শিক্ষার সম্পর্ক যত্সামান্য। এর দায় সমাজের। যেমন ধর, বাংলাদেশে সব দুর্নীতিবাজের তালিকা তৈরি করলে দেখা যাবে, তাদের অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল, তাই বলে কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার কথা ভাবা যায়? নিশ্চয় না। তাই কারো দিকে আঙুল দেখানোর আগে আমাদের ভাবা উচিত, কেন একই শিক্ষা ব্যবস্থা একজনকে সত্য, নিষ্ঠাবান কিংবা দেশপ্রেমিক তৈরি করে আর একই শিক্ষকের লেকচার শুনে অন্য একজন হয় অসৎ, কপট কিংবা দেশদ্রোহী। একই পিতা-মাতার দুটো সন্তান কেন ঠিক একে অপরের উল্টো হয়? এর সঙ্গে জড়িত সমাজ, অর্থনীতি কিংবা রাজনীতি। ছাত্রটি চুপ করে বলেছিল, স্যার সবাইকে এ ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। গল্পটা পুনরায় বলতে হলো, কারণ এখন ঠিক উল্টো বাতাস বইছে। সবাই ভাবছেন, ইংরেজি শিক্ষা আমাদের বিপথে টানছে। কেউ ভাবছেন— না, তাহলে কেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এতগুলো ছাত্র জঙ্গি হলো। কেন বুয়েট বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জঙ্গি হিসেবে ধরা পড়ছে?
পরীক্ষা পাস নিয়ে আমাদের মাঝে নানা আলোচনা হয়েছে। আমি নিজে শিক্ষক হিসেবে অনেক সময় বিব্রত বোধ করি। আমার অনেক সহকর্মীর সঙ্গে মনকষাকষি হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিও ছেড়েছি এ বিষয়ে মতপার্থক্য নিয়ে। আমার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ারও একটি কারণ ছিল পরীক্ষা পাস-সংক্রান্ত। আমি এত দিন শিক্ষকতা করেও ঠিক বুঝতে পারি না পরীক্ষার ফল কোনটি আসল আর কোনটি নকল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে অনেকেই অতি সহজে বিষয়টি যুক্ত করেন। এখানে নাকি পয়সা দিয়ে ডিগ্রি কেনা যায়। এ যুক্তি অবাস্তব নয়। কথার মাঝেই আমার বন্ধু তার মোবাইলের এসএমএস হতে একটি আমাকে পাঠালেন। যাতে লেখা ছিল “SSC/HSC/Hons/Masters.. Need original certificate? Xxx Univerity= 1 lac 100% pure. প্রাইভেট পরীক্ষায় পাসের ব্যবস্থা 017xxxxxx” . এসএমএসটি দেখে রাগও হলো, আবার হাসিও পেল। রাগের কারণ স্পষ্ট। তাই সঙ্গে সঙ্গেই এসএমএসটি ইউজিসির চেয়ারম্যান বরাবর পাঠালাম। বিষয়টি নিয়ে তাঁর ভাবা দরকার। হাসি পাচ্ছিল, কারণ কেবল বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি নয়; এসএসসি, এইচএসসিসহ সবকিছুই পাওয়া যায়। বন্ধুটিকে বললাম, বিশ্বাস করো না এসব এসএমএস। তবে ঠিক অবিশ্বাসও করো না। সবই সম্ভব। আবার তা একেবারে বন্ধ করা অসম্ভব। এসব কুকীর্তি সব প্রতিষ্ঠানেই হয়। সরকারি কিংবা বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়েই তা সম্ভব। তাই আঙুল কেবল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তুলো না। প্রথমত, তুমি আমি দুজনেই একমত যে, এ ডিগ্রি ভুয়া। তবে তোমাকে আমি অন্য একটি ভুয়া ডিগ্রির কথা বলব, যাকে তুমি ভুয়া বলছ না। যেমন ধর, রাজনৈতিক কিংবা আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে আমাদের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট পাল্টাচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত কিছু শিক্ষক। তাদের দ্বারা যদি মার্কস অদল-বদল করা হয়, তবে তা কি ভুয়া ডিগ্রি হয়? হয় না অথচ কন্ট্রোলার অফিসে বা রেজিস্ট্রার অফিসে মার্কস অদল-বদল করা হলে তা হয় ভুয়া। আমরা একটিকে ভুয়া বলি, অন্যটিকে নয় কেন? কারণ একটিই, আমরা বুঝতে পারি যে, নানাভাবে ডিগ্রি ভুয়া হতে পারে এবং তার সব ফাঁকফোকর বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাই যেগুলো সম্ভব, সেগুলোকে ভুয়া বলছি। সত্য আর মিথ্যার মাঝামাঝি কিছু রাস্তা আমরা তৈরি করেছি নিজেদের সুবিধার্থে। অর্থাৎ প্রকৃত সত্য সবর্দাই আড়ালে থাকছে। আমরা যা জানি, তা আপেক্ষিক সত্য। আমার ধারণা, আমরা কোনো দিনই সব সত্য প্রকাশ করব না। ডিগ্রির সামাজিক মর্যাদার কারণে অনেকে কেবল ডিগ্রিই নেন। শুধু তা-ই নয়, অনেকে লাখ টাকা খরচ করে আলহাজ বনে যান কেবল মর্যাদা লাভের আশায়। বন্ধ করা কি সম্ভব? একইভাবে লাখ টাকা খরচ করে ডিগ্রি কেনার জন্যও কিন্তু অনেকে এ সমাজেই বাস করেন। তাদের ডিগ্রি দেশে না দিলে, তারা বিদেশ হতে ডিগ্রি কিনে আনবেন। কেউ কি ঠেকাতে পারবে? নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এখন আমাদের বড় সমস্যা হলো দেশী নয়, বিদেশী ভুয়া ডিগ্রি সামলানো। নাম না জানা কিংবা নামকরা অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রির ব্যবসা করছে। এ ব্যবসা আজকের নয়। বহু পুরনো। আগেও ছিল, এখনো আছে। পার্থক্য কেবল সংখ্যায়।
সবমিলিয়ে যা বলতে চাইলাম তা হলো, রাজনৈতিক কিংবা অর্থনৈতিক বিবেচনায় পাস করানোটা বন্ধ হবে না। কারণ এখন শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রচুর। আবার পাসের ব্যবস্থা দেশের ভেতরে কিংবা বাইরে সব স্থানেই আছে। একসময় সব কিছুতে খবরদারি করা সম্ভব ছিল, কারণ শিক্ষা ছিল সোনার হরিণ, কেবল ধনীর দুলালরাই তার স্বাদ পেতেন। এখন শিক্ষা সার্বজনীন। তাই সংখ্যার মারপ্যাঁচে আমাদের মানতে হবে যে, কিছুটা খাদ থেকেই যাবে। শিক্ষক সৎ হলে কর্মচারী অসৎ হতে পারে, কিংবা কর্মচারী সৎ হলে শিক্ষক অসৎ হতে পারে। সরকারি কিংবা বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানেই এ অনিয়ম সম্ভব। দেশে কিংবা বিদেশে সব স্থানেই তা সম্ভব। আমাদের উচিত, এসব প্রতিষ্ঠানের বিচ্যুতি প্রকাশ করা, অভিভাবকদের জানতে দেয়া, যাতে সবাই সব কিছু জেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এর চেয়ে বেশি যদি আশা করা হয়, তবে তা বাস্তবে অসম্ভব। তবে দুর্নীতি বিতাড়নে আমাদের অর্থনীতির কিছু নিয়ম মনে রাখা উচিত। আমরা যদি খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি করি কিংবা আয়ের চেয়ে খরচ বেশি করতে পারি, তবেই এ প্রবণতা কমবে। আর তার জন্য প্রয়োজন প্রণোদনা নিয়ম তৈরি করা ও তা প্রয়োগ করা। ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া এবং খারাপ প্রতিষ্ঠানকে পর্যাপ্ত হারে জরিমানা করা। তবেই অর্থের বিনিময়ে ডিগ্রি দেয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে।
লেখক: ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক
পাঠকের মতামত