সম্পাদকীয়
শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তনের অর্থনীতি
বিশ্বে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। ভাবছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা নিয়ে লিখছি, তা নয়। আমি বলছি অর্থনীতির পরিবর্তনের কথা। এ পরিবর্তনকে আমাদের বুঝতে হবে। তার পর তৈরি হতে হবে মোকাবেলা করার জন্য, নচেত্ আমাদের অগ্রগতি থেমে যাবে। পরিবর্তন হবে আমাদের মনে, আমাদের মননে, আমাদের চিন্তায় এবং আমাদের সন্তানের শিক্ষায়। তবে পরিবর্তন সবসময়ই সাংঘর্ষিক বর্তমানের সঙ্গে। সবাই চায়, যা তারা জানে তা-ই যেন তারা করতে পারে। আর তা রক্ষায় শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই একজোট। সবাই চায়, তার সুবিধা যেন বজায় থাকে। আর তা করতে গিয়ে তারা পিছিয়ে পড়ে অগ্রগতির সঙ্গে।
স্পষ্ট করি বিষয়টি। মালয়েশিয়ার ইউনিসেল একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে প্রফেসরিয়াল কাউন্সিলের আমন্ত্রণে আমি বক্তব্য দিচ্ছিলাম। ইউনিসেল বিশ্ববিদ্যালয়টি সে দেশের পাঁচ তারকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। তাদের শিক্ষার্থীর চাহিদা সর্বত্র। সেলাংগর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের প্রধান। উপাচার্য ইতিহাসের অধ্যাপক। উপ-উপচার্য অধ্যাপক মোকতারের আমন্ত্রণেই সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে উপস্থিত বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী। একুশ শতকের শিক্ষা কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে আমি বক্তব্য দিতে গিয়ে বলছিলাম যে, প্রচলিত শিক্ষা ক্রমেই আকর্ষণহীন হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার উদ্দেশ্য বদলেছে। একসময় শিক্ষার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল জ্ঞানার্জন। তখন খুবই অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় ছিল। এখন তা নয়। সবাই চায়, তার ছেলে বা মেয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক। কী করবে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, তা একসময় কেউ ভাবত না। স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী, যারা তখন উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতো, তারা ছিল উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। কিছুদিন আগেও তা দেখা যেত। কিন্তু এখন? সবাই চায়, তার সন্তান শিক্ষিত হবে। মা-বাবার ভাগ্য বদলাবে। তাহলে শিক্ষার উদ্দেশ্য কি পরিবর্তিত হয়েছে? না, তা নয়। শিক্ষা এখন কেবল জ্ঞানার্জনের জন্য নয়, সঙ্গে প্রয়োজন উপার্জনের জন্যও। বিপত্তি বেধেছে সেখানেই। উপার্জন প্রত্যাশা শিক্ষাকে ক্রমে গ্রাস করেছে। জ্ঞানার্জন উবে গেছে। বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন নেই, শিক্ষা ক্রমে প্রত্যয়নে থেমে গেছে। সবাই চায়, ঠিক শিক্ষা নয়, তবে শিক্ষার প্রত্যয়নপত্র। তাই সার্টিফিকেট ব্যবসার প্রসার হয়েছে। নকলের সমারোহ বেড়েছে। প্রশ্নফাঁসের ‘প্রয়োজনীয়তা’ বেড়েছে।
কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। তবে বিপত্তি ঘটেছে অন্যত্র। শিক্ষা থেকে জ্ঞান বিতাড়িত হওয়ায় শিক্ষা ক্রমাগত নিয়মতান্ত্রিক হয়ে গেছে। যাকেই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুন, উত্তর একই। লাখ লাখ শিক্ষার্থী হওয়ায় শিক্ষকের গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষকতা একটি চাকরি, পেশা নয়। শিক্ষক মানে তিনি সুন্দর কথা বলতে পারেন। একনাগাড়ে দেড় ঘণ্টা কথা বলতে তার পানি খেতে হয় না। তার লেকচারগুলো হারিয়েছে স্বকীয়তা। শিক্ষকতা সহজ হয়েছে। এসেছে প্রযুক্তি। পাওয়ার পয়েন্ট। শিক্ষকের যেমন মুখস্থ বলা, শিক্ষার্থীদেরও তেমনি মুখস্থ শেখা। ডলারের পরিবর্তে ক্লাসে টাকা বলা যাবে না, কারণ বইতে ডলার আছে যে! উপযোগিতা পড়াতে গিয়ে শিক্ষক আমের উদাহরণ দিতে পারেন না, কারণ বইয়ে আছে অরেঞ্জ, কমলা নয়। কিছুদিন আগে আমরা বসেছিলাম শিক্ষক বাছাইয়ে। প্রতিযোগিতা প্রচুর। ভূরি ভূরি জিপিএ ৩.৫। তার মধ্যে একটি ৩.১। বললাম, আমার জানামতে ৩.৫-এর নিচে শিক্ষক হওয়া যায় না। তারা পড়াতে পারবে না। বলা হলো, এমন নির্দেশনা নেই। আমি বললাম, যেখানে ৩.৫-এর ওপর প্রচুর আবেদন আছে, তাই এর নিচে কেন? চুপিসারে বললেন, বোর্ডের লোক। আমাদের কিছু করার নেই। আপনি এক্সটারনাল। আপনার আপত্তি থাকলে বাদ দেব, আমরা আপনার দোহাই দিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে পারি। বুঝতে পারলাম রাজনীতির মতো, ব্যবসার মতো শিক্ষকও এখন আমার সন্তান হবে— এ নিয়ম চালু হয়েছে।
অন্য একটি বাছাই পরীক্ষায় এক প্রার্থীকে বলা হলো তার ইচ্ছামতো যেকোনো বিষয়ে একটি পাঠ তৈরি করে আনতে। আর তা আমাদের সামনে পড়াতে হবে। সাধারণত সদ্যপাস করা প্রার্থীরা কিছুটা বিব্রত থাকে— এত বড় বড় প্রফেসরের সামনে পরীক্ষা দেবে। লক্ষ করলাম, সে অত্যন্ত বুদ্ধিমান। খুবই সুন্দর স্লাইড কিন্তু খটকা লাগল দুটি স্লাইডে। একটিতে টাকা হিসেবে বলা হচ্ছে ডলার, অন্যটিতে রিয়েল। বুঝতে বাকি রইল না যে, সে কেবল মুখস্থ করে পাস করেনি, নিজে স্লাইড তৈরি না করে ইন্টানেটে প্রাপ্ত পাওয়ার পয়েন্ট নিজের বলে চালু করেছে। প্রশ্ন করায় স্বীকার করল, তবে সে বিব্রত নয়। তার মতে, এসব বিষয় সারা বিশ্বে একই, তাই যেকোনো একটি স্লাইড থেকে পড়ানো যায়। অর্থাত্ তার ভাষায়, শিক্ষকের বিশেষ কিছু করার নেই, কেবল স্লাইড দেখে পড়ানো ছাড়া। মনে পড়ে গেল বেশ কিছুদিন আগের কথা। আমার ক্লাসে কেন যেন ছাত্ররা মনোযোগ দিয়ে পড়ে। আমি কখনই উপস্থিতির জন্য তাদের বলি না। বলি না যে উপস্থিত থাকলে ৫ কিংবা ১০ মার্ক পাবে (ছাত্ররা দয়া করে শিক্ষকের কর্কশ চিত্কার কিংবা মুখস্থ করা বুলি ঘণ্টাব্যাপী শুনছে তার জন্য পুরস্কার!) বরং বলি যে, তারা না এলেও পারে। আমার কাজ পড়ানো। পড়া ভালো লাগলে তারা আসবে আর না লাগলে তারা আসবে না। আমার এই ব্যবস্থা সহকর্মীদের অনেকেই অনুসরণ করেন। কিন্তু এক ছাত্র বলল, ‘স্যার, আপনার ক্লাস কি রেকর্ড করতে পারব?’ তার যুক্তি, রেকর্ড করা ক্লাস পরে শুনলে পড়া মনে থাকে। মানা না করলাম না। ভাবলাম, পড়ার এমন উত্সাহকে বাধা দেয়া ঠিক হবে না। কিছুদিন পর লক্ষ করলাম ক্রমে আমার ডেস্কে সেলফোনের সংখ্যা বাড়ছে আর ছাত্রসংখ্যা কমছে। অর্থাত্ শিক্ষার্থীরা এখন ক্লাসে না এসে মোবাইল পাঠিয়ে দিচ্ছে! সময়ের মূল্য অনেক বেশি তাই। একটু রাগ করেই বললাম— শোনো, তোমাদের এমন আচরণের জবাব আমার কাছে দুটি। প্রথমত. সবার মতো উপস্থিতির মার্ক আরোপ করা কিন্তু তাতে আমি একমত নই। আমার ধারণা ক্লাসে আমি যা বলি, তার সঙ্গে বোর্ডের যথেষ্ট সম্পর্ক আছে আর তোমার নোটে তা না থাকলে কেবল অডিও শুনে শেষ পর্যন্ত কিছুই বুঝবে না। নিজের পায়ে কুড়াল মারছ। পরীক্ষায় বুঝতে পারবে। তবে দ্বিতীয় উপায় হলো, আমি একটি মোবাইল এনে আমার অডিওটি প্লে করে দিতে পারি। তখন ক্লাস হবে দুই রকম। ক্লাসরুমে থাকবে মোবাইল আর মোবাইল। একটি বলছে, বাকিগুলো রেকর্ড করছে। অন্যভাবে আমি আমার অডিওটি ইন্টারনেটে ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে দিতে পারি, সেখান থেকে শুনে নিও। সবার সময় বেঁচে যাবে। বলা বাহুল্য, ছাত্ররা পরে বুঝেছিল যে, ক্লাসের কেবল অডিওতে শিক্ষালাভ হয় না। শিক্ষকের কণ্ঠের সঙ্গে বোর্ডটিও দেখা চাই। তাই অডিওর বদলে ভিডিও ভালো। আর ভিডিওর চেয়ে ভালো শিক্ষক-ছাত্রের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ। শিক্ষা নেয়া আর গান শোনা এক নয়। তাই শিক্ষককে কেবল বাগ্মী হলে চলবে না, তাকে হতে হবে বিজ্ঞ। পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে তিনি উদাহরণ দেবেন চারপাশের চেনাশোনা জগত্ থেকে। শিক্ষক প্রশ্ন করতে শেখাবেন। শিক্ষক তার কথায় শিক্ষার্থীকে চিন্তা করতে শেখাবেন। তা না করে আমাদের অনেক শিক্ষক কেবল অডিও শিক্ষক বা ভিডিও শিক্ষক বা স্লাইড শিক্ষক হয়ে গেছেন। ফলে শিক্ষা অন্তঃসারশূন্য হচ্ছে আর পরীক্ষা সার্টিফিকেটনির্ভর হচ্ছে। কী করে জিপিএ বাড়ানো যাবে— এটাই আমাদের সবার প্রধান উদ্দেশ্য, আর কিছু নয়। এ অবস্থায় আমরা শিক্ষকরা অসহায়।
কিন্তু হতাশ হওয়া আমাদের সাজে না। নানা আলোচনা, গবেষণা থেকে দেখা গেল, মূল গলদ বিদ্যালয়ে। সেখানে সঠিক পদ্ধতিতে শিক্ষা না দেয়ার ফলে আমাদের এই হাফিজীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন অর্থাত্ মুখস্থ বিদ্যা। তাই নাহিদ শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট লিখতে গিয়ে বলা হলো, বিদ্যালয়ে চালু হোক সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি। ছাত্র ও অভিভাবকদের প্রবল আপত্তির মুখে শিক্ষা ব্যবস্থায় (মূলত শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে) চালু হলো এই ব্যবস্থা। কী হলো শেষ পর্যন্ত? সৃজনশীল পরীক্ষা চালু হয়েও হলো না। মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চালু করলেন ‘সৃজনশীল প্রশ্নের মুখস্থ উত্তর!’ সেই তিমিরেই রয়ে গেল শিক্ষা ব্যবস্থা। সেদিন আমার এক ভাগিনি বলল, ‘মামা শিক্ষামন্ত্রী পাগল হয়ে গেছেন। একে তো সৃজনশীল প্রশ্ন (লক্ষ করুন সৃজনশীল পরীক্ষা বলছে না), তার ওপর ছয়টির জায়গায় একই সময়ে সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।’ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হলাম। কী বলা যায় তাকে? তার দুঃখ, প্রশ্নের সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু সময় একই। ঠিকই তো। বললাম, মামা প্রশ্ন যদি ছয়টির জায়গায় সাতটি হয়, তবে তোমরা তো উত্তর লিখতে একটু সৃজনশীল হতে পারো। প্রশ্নের সংখ্যা জানা আছে, সময় জানা আছে, তার ওপর সব শিক্ষার্থী সমান সময় পাবে। অসুবিধা কোথায়? সেক্ষেত্রে উত্তর লিখতে গিয়ে একটু ‘সৃজনশীল’ হলেই তো লেঠা চুকে যায়। প্রশ্ন বুঝে উত্তর ছোট করতে পারাটাই তো সৃজনশীলতা! তা করো না কেন?
যাহোক, পরিবর্তন যে সহজ নয়, তা সবাই বুঝতে পারছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি পার পাব, যদি আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো পরিবর্তন না করি? বলছিলাম মালয়েশিয়ায় আমার দেয়া বক্তব্য নিয়ে। প্রথমত. শিক্ষা এখন জ্ঞাননির্ভর না হয়ে হয়েছে চাকরিনির্ভর। আর চাকরি? সেখানেও পরিবর্তন হয়েছে। আগামী দিনে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করবে মিডিয়কার বা মধ্যম সারির শিক্ষার্থীরা। চাকরির বাজারে এখন কম্পিউটার নির্ভরতা বাড়ছে। অর্থাত্ যে কাজ রুটিন, তা এখন কম্পিউটার করে দিচ্ছে। সহজ উদাহরণ দিই— একটি চিঠি যদি একবার লেখা হয়ে যায়, তবে আর লিখতে হয় না। কারণ নাম আর ঠিকানা বদলে তা বহু লোককে পাঠানো যায়। তার মানে নিয়মিত কাজে এত দিন আমরা নির্ভর ছিলাম মধ্যম সারির শিক্ষার্থীর ওপর, কিন্তু এখন তা কম্পিউটার জানা যেকোনো সাধারণ শিক্ষার্থীও করতে পারবে। মধ্যম বেকার হবে। এ অবস্থা এখন সর্বত্র। রুটিন ডাক্তারি এখন সফটওয়্যার করে দিচ্ছে। ডাক্তারের মেধার প্রয়োজনীয়তা কমে যাচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারেরও একই অবস্থা। পৃথিবীর বহু কোম্পানিতে রুটিন কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীরা ক্রমাগত বেকার হচ্ছেন। কম্পিউটার তার কাজ করে দিচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় ল্যাবের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। কাজটি এখন সিমুলেটেড করা যায় কম্পিউটারে। সূর্যের আলো ঘরে কোন ডিগ্রিতে পতিত হবে আর তা ফুলের টবের গাছটির ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা এখন ল্যাবে করার প্রয়োজন নেই। কম্পিউটার দেখিয়ে দেবে সময় ধরে। আমেরিকায় চারটি হাসপাতাল অ্যানেস্থলজিস্টদের ছুটি দিয়েছে। কারণ তাদের কাজ রোবট করছে। গাড়ি কারখানায় রোবট মানুষের স্থান নিয়ে নিচ্ছে। রান্নাঘরেও একই ব্যবস্থা। দরকার একটি রান্নার বই আর একটি ওভেন বা মাইক্রোওয়েভ চুলা। বাকিটা অতি সহজ। থাকতে হবে কেবল বই পড়ার ক্ষমতা। বোঝার দরকার নেই। রক্তের টেস্ট, ব্লাডপ্রেসার পরিমাপ, পালস রেট— সবই এখন হাতের মুঠোয়! জানতে হবে না কিছুই, মেশিন বলে দেবে কী পেল আর কী পায়নি। গাড়ি চালাতে চান? গুগল কার আসছে। নিজেই চলবে।
আবার দেখুন নতুন খাবার মেনু তৈরি করতে চান? লাগবে মেধাবীদের, যারা জ্ঞান ও বিজ্ঞানের সমন্বয়ে সৃষ্টি করবে নিত্যনতুন খাবার। দেখুন মাস্টার শেফ প্রোগ্রাম— ওরা কি কুক না বিজ্ঞানী? ওরা কি মেধাবী না সাধারণ? কেবল মেধাবীরাই পারে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে। নতুন বাড়ি তৈরি করতে চান? প্রয়োজন মেধাবী আর্কিটেক্ট, নকলবাজ আর্কিটেক্ট নয়। প্রয়োজন নতুন গাড়ি তৈরি করা, মধ্যম সারির শিক্ষার্থীরা পড়বে বিপদে। আগামী দিনে মুখস্থ শিক্ষার্থীর চাহিদা বাজারে থাকবে না। শিক্ষা ব্যবস্থা কি তৈরি?
হ্যাঁ, তবে মানুষ আর মেশিনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কী সেই পার্থক্য? মানবিকতা, আদর্শ, নৈতিকতা, সততা। এগুলো কি শেখাচ্ছি শিক্ষা ব্যবস্থায়? এ গুণগুলো যার থাকবে, তাকেই খুঁজবে চাকরির বাজার। অন্য কাউকে নয়। আমরা কি তৈরি?
লেখক: অধ্যাপক, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালক, এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট
পাঠকের মতামত