আমরা যেখানে এখনো ভাবছি কী করব, সেখানে কোনো কোনো দেশের চিন্তা আমাদের অনেককে হার মানিয়েছে। করোনা বেশকিছু ব্যবসায় লাভ বাড়িয়েছে। অ্যামাজনের দৈনিক আয় এখন ৬ হাজার ৫১৩ বিলিয়ন ডলার। দেশে দেশে এখন ‘বাড়ি থেকে কাজ’ বেড়ে গেছে। সবাই তাদের কর্মচারীদের বাড়িতে থেকে কাজ করতে উৎসাহিত করছে। তাতে অনেক খরচ কমে যায়। বিশাল অফিস লাগে না, অফিসের অন্যান্য খরচ কমে যায়। চা নেই, কফি নেই। যাতায়াত নেই। অফিস টাইমও নেই। সেদিন আমার এক বন্ধু বললেন, রাত ২টায় নাকি তিনি তার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ই-মেইল পাঠিয়েছেন। যারা বাড়িতে থেকে কাজ করছেন, তাদের কাজ কমেনি। তবে হ্যাঁ, অফিসে লোকজন যাতায়াত না করলে বাড়তি আয় হয় না, তাই দেখবেন যাদের অফিসে না গেলেও চলে, তাদের অনেকেই অফিসে যেতে উৎসাহী।
এর বাইরেও বাংলাদেশে লাভবান হয়েছে অনেকে। বিকাশের জয় জয়কার। ভাবলাম বিকাশ তো একটি বহুজাতিক কোম্পানির অংশ, আমি বরং বাংলাদেশী একটি কোম্পানির সংযোগ নিয়ে দেখি কী হয়। মাশরাফি আজকাল সবাইকে নগদে অ্যাকাউন্ট করতে উৎসাহিত করছেন। টিভিতে প্রতিদিন নগদের বিজ্ঞাপন দেখি। নগদ আমাদের জাতীয় কোম্পানি। ডাক বিভাগের অংশ। নগদে নাকি যেকোনো ব্যাংক থেকে টাকা ওঠানো যায়। বিজ্ঞাপন তাই বলে। তাই ভাবলাম দেখি নগদ অ্যাকাউন্ট করা যায় কিনা? যেই ভাবনা সেই কাজ। আমি নগদের অ্যাকাউন্ট করতে অ্যাপ নামিয়ে নিলাম। সবকিছু ঠিকঠাক! কিন্তু কোনোভাবেই অ্যাকা?উন্ট করতে পারলাম না। বলল, কেবল রবি বা এয়ারটেলের সিমে তা করা সম্ভব। আমার সিম টেলিটকের। বুঝলাম না, টেলিটকও একটি জাতীয় কোম্পানি অথচ সখ্য নেই সরকারি এই দুই কোম্পানির মাঝে। তবে কি সরকারের টেলিফোনমন্ত্রী আর ডাকমন্ত্রীর মাঝে বিরোধ চলছে! সখ্য কিনা বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে? এই হলো আমাদের আন্তঃমন্ত্রণালয়বিষয়ক সহযোগিতার বা সমঝোতার নমুনা। আমিও নাছোড়বান্দা। দেশীয় কোম্পানির সাফল্য চাই। তাই ই-মেইল পাঠালাম নগদকে। কেন আমি নগদ অ্যাকাউন্টটি যেকোনো মোবাইলের সিম থেকে করতে পারব না? কেন এই বিদেশী কোম্পানি প্রীতি? করোনার মাঝে বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছু করার সাহস পাচ্ছিলাম না। দুদিন বাদেই উত্তর এল। আমাকে তারা ‘উপদেশ’ দিলেন একটি নাম্বার পাঠিয়ে, ওখানে নাকি ফোন করলে অ্যাকাউন্ট করা যাবে। ডিজিটাল যুগে অ্যানালগ উপদেশ! তাদের সঙ্গে কথা বলে অ্যাকাউন্ট করা যেত, তবে সেই যুগ আমরা পার হয়ে এসেছি বহু আগেই। এখন তা করার ইচ্ছা রইল না। অগত্যা বিদেশী কোম্পানির ভরসায় রইলাম। জয় বিকাশের হোক। তারা আর যাই হোক, গ্রাহকের চাহিদা বুঝে! ঘটনাটির বর্ণনা দিলাম এজন্য যে এই যখন দেশী কিংবা সরকারি কোম্পানির অবস্থা, তখন সরকারের দিনে দিনে আর্থিক অবস্থা করুণ হতে বাধ্য।
গতদিন ঘুম ভাঙল আমার অন্য এক আপনজনের ফোনে। তার গলায় প্রচণ্ড রাগ। কী হয়েছে? জানতে চাইল কেন তার নিয়োগদাতা তার আয় থেকে আয়কর বেশি কেটেছে? সরকারকে গালাগাল দেয়া যায় না, তাই ঝাল ঝাড়ছে আমার ওপর। কত বাড়িয়েছে? প্রায় তিন গুণ। কী করে সম্ভব হলো? নিশ্চয় ভুলভাল হয়েছে! কিন্তু তা নয়, তিনি খোঁজ নিয়েছেন এবং অ্যাকাউন্টস জানিয়েছে বাজেটের পর করহার বেড়ে যাওয়ায় এখন কর বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী তো সব ভুলে বেমালুম বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! বললাম, সরকারের আয় কমে গিয়েছে, তাই সম্ভবত এমনটি হয়েছে। অর্থাৎ আয় বাড়ানোর জন্যই করের বোঝা একটু বেড়েছে। তার রাগ কমেনি। আমি জানালাম, যে দেশে মাত্র ২০-২২ লাখ লোক কর দেয়, সেখানে সরকার আর কাউকে না পেয়ে তোমাকে ধরেছে। আমাকে ধরেছে। আমরা তো করদাতা। সাহেদ সাহেব তো কর দেন না। তাই আর কী করা? আমরা বোকা, তিনি বুদ্ধিমান। তিনি হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেন। তার রাগ কমে না। কেন তারা আমার ওপর কর চাপিয়ে দুর্নীতি করবে আর আমি কর দিতেই থাকব? তা হবে না। বললাম, রাগ করে লাভ নেই। কর কম রয়েছে এমন কোনো দেশে চলে যাওয়াই ভালো।
এর মধ্যে ছেলে এসে সংবাদ দিল। বারমুডার কাণ্ড দেখেছ? কী হয়েছে বারমুডায়? তাদের সরকার বলেছে, বাড়ি থেকে কাজ করতে হলে বারমুডায় এসে পড়ো। এখান থেকে কাজ করো। কোন কর নেই। ২৬৩ ডলার ফি দিয়ে ১২ মাস বসবাসের অনুমতি পাবে আর সেখানে বসে বিদেশে কাজ করবে। বাড়ি থেকে যদি কাজ করা যায়, তবে সেই দেশেই যাও, যেখানে কর কম।
বুঝতে পারছেন, আগামী দিনে কী হতে যাবে? বারমুডা মূলত মার্কিন নাগরিকদের বলছে, চলে আসো বারমুডায়। কাজ করো এখানে বসে। করের বোঝা থেকে রক্ষা পাও। বরং করের টাকায় ফুর্তি করো। আমার দেশে থেকেই কাজ করো। আমাকে কোনো কর দেয়ার দরকার নেই। এ দেশে থাকো, এখানে খরচ করো, তাতেই আমাদের জাতীয় আয় বেড়ে যাবে। তোমার জন্য কর নেই, করের টাকায় তুমি ঘুরে বেড়াও। আমার দেশে যতদিন থাকবে, তুমি যা খরচ করবে তা থেকেই আমার মানুষের আয় বাড়বে!
এরই মধ্যে বিবিসির একটি সংবাদও দেখতে পেলাম। ইউরোপ-আমেরিকায় বহু কর্মী বহুদিন ধরেই বাড়ি থেকে কাজ করেন। তারা প্রতি তিন মাস পর দেশ বদলান। কখনো বারমুডায়, কখনো মেক্সিকোয়, কখনো ব্রাজিলে। কোনো দেশেই তারা একনাগাড়ে তিন মাসের বেশি থাকেন না, ফলে কোথাও তাকে কর দিতে হয় না। নিজ দেশে থাকলে যা কর দিতে হতো, সেই টাকায় ঘুরে বেড়ান। তারা থাকেন নানান পর্যটন কেন্দ্রে, আর সেখান থেকেই কাজ করেন অনলাইনে। অনেক রিসোর্ট তাই অধিক গতির ইন্টারনেট চালু করেছে বিনে পয়সায়। নিজের করের টাকা দিয়েই রিসোর্টে থাকুন। আর বিবিসি বলছে, শত শত অনলাইন কর্মী তা-ই করে আসছেন।
ভাবছিলাম বাংলাদেশে কত অনলাইন কর্মী আছে? আমার এক ছাত্র গবেষণা করতে শুরু করেছে তা নিয়ে। সেই জানাল, মোট ৬ লাখ ৫০ হাজার কর্মী বাংলাদেশে থেকে অনলাইনে বিদেশে কাজ করেন। কোনো একটি খবরের কাগজে নাকি তা প্রকাশিত হয়েছে। প্রতি মাসে তাদের আয় কত? অন্য একটি সংবাদে জানা গেল মাসে ৪ হাজার ডলার আয় করেন নাটোরের একজন। অর্থাৎ বছরে প্রায় ৪৮ হাজার ডলার আয়। একজনের? হিসাব করে দেখুন তো কত টাকা? যদি সাড়ে ৬ লাখ লোক বছরে ২০ হাজার ডলার (অর্ধেকের কম ধরলাম) করেও ঘরে বসে আয় করেন, তবে কেবল বাংলাদেশে বসেই তারা আয় করছেন বছরে ১৩ বিলিয়ন ডলার। অথচ তার সিংহভাগই দেশে আসে না। কারণ? কারণ আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা আনার নিয়ম চালু করিনি। নামকাওয়াস্তে পেপাল চালু করা হয়েছিল কিন্তু নিয়মের বেড়াজাল এমন যে এই টাকা আনা প্রায় অসম্ভব। অনেকটা সেই ‘নগদ’ ব্যবস্থার মতন। আমাদের অসুবিধা হলো। আমরা সাধারণ মানুষের সবকিছুতে গন্ধ পাই কিন্তু সাহেদদের কিছুতে পাই না। এই সাড়ে ছয় লাখ লোক এখন দেশের বাইরে অন্য কোথাও টাকা রাখতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ তাদের মোট আয় আমাদের রফতানি আয়ের এক-তৃতীয়াংশ, আর তা আমাদের বিদেশ থেকে প্রেরিত সব বাংলাদেশীর (সকল দেশের) পাঠানো অংকের সমান। বুঝতে পারছেন আমাদের কী করা উচিত? গার্মেন্ট আর শ্রমিক রফতানির চেয়ে এটি কোনো অংশে কম নয়। আমাদের নীতিনির্ধারকদের মাথায় প্রচুর বুদ্ধি। তবে তা দেশের কাজে নয়, ব্যবহার করেন নিজের জন্য। এমন নিয়ম চালু করেন যেন নিয়ম পালন করা হয় না। দেখেননি বারডেম হাসপাতালেরই চিকিৎসার অনুমতি নেই! লজ্জা কার? বারডেমের না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের? নিয়মের বেড়াজালে সবাইকে অপদস্থ করার সুযোগ তৈরি করা থাকে। এমনভাবে সংবাদটি প্রকাশিত হচ্ছে যেন দোষ বারডেমের! যিনি সরকারি বেতন নিয়ে থাকেন পরিদর্শনের জন্য। তার কোনো দায়িত্ব নেই? তার কোনো জবাবদিহিতা নেই? ক্ষমতা নিজের হাতে থাকে। বাড়তি আয় হয়। বারডেমে সেই সুযোগ নেই, তাই কি এই অবহেলা?
একবার ভেবে দেখুন। আগামী দিনে পৃথিবীর সর্বত্র চলবে ঘরে বসে কাজের রীতি। অন্য কাজও থাকবে, তবে যারা এতদিন অফিসগামী ছিলেন, তাদের অনেকেরই কাজ হবে এখন থেকে বাসায়। যারা কায়িক কাজ করেন, যারা যানবাহনে কাজ করেন, যারা পর্যটন শিল্পে কাজ করেন, যারা ছোট ব্যবসা চালান কিংবা যারা স্বাস্থ্যসেবায় থাকেন, তাদের অধিকাংশ অবশ্য কাজ থাকবে ঘরের বাইরে। অন্যদের জন্য কাজ হবে ঘরে বসে।
এদের মধ্যে যারা ঘরে বসে বিদেশে কাজ করেন? তাদের সঙ্গে দেশের বাইরে পাঠানো লাখো শ্রমিকের পার্থক্য হলো, তারা শিক্ষিত আর তাদের কর্মসংস্থান এ দেশে গড়ে উঠছে না সেই হারে। আমার জানা মতে, দেশে শিক্ষিত যুবকের বেকারত্বের হার ৩০-৪০ শতাংশ। তাদের চাপেই সরকার থাকে জর্জরিত। অথচ তাদের সহজেই ডলার আয়ের উৎস হিসেবে সরকার দেখতে পারে। অনেকটা শ্রম রফতানির মতো, তবে শ্রমিক রফতানি নয়। তাদের আয়ের ওপর কর বসিয়ে লাভ নেই, কারণ বারমুডার মতো দেশ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, গ্রিস, সাইপ্রাসসহ বহু দেশ তাদের সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করতে রাজি। আমরা তাদের দেশে টাকা আনতে দিচ্ছি না, তথাকথিত মানি লন্ডারিং আইনের কারণে। তাই অনেকেই টাকা আনতে পারেন না বা আনলেও আনেন হুন্ডিতে। অথচ তারা দিব্যি বিদেশে টাকা রাখতে পারেন। কোনো অসুবিধা হয় না। আমাদের ক্ষেত্রেই যত নিয়ম। বিদেশ থেকে কোনো টাকা দেশে এলেই চালু হয় ফরমের ব্যবসা। ফরমের ওপরও ফরম রয়েছে। টাকার অংকের সঙ্গে ফরমের রঙ বদলায়। সাইজ বদলায়। বছরে অত টাকার বেশি হলে রয়েছে ফরমের ওপরে আরেক ফরম। এক ফরমে হবে না। তার চেয়ে এই ডলার বিদেশের অ্যাকাউন্টে রাখাই শ্রেয় এবং নিরাপদ। ‘নগদ’ যেমন তার ভাই টেলিটককে বিশ্বাস করে না, তেমনি চলে এই দেশ। দেশে বসে কর বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, ব্যাংক বিভাগ ইত্যাদির তাড়া খাওয়ার চেয়ে বিদেশীদের হাতেই আমার সম্পদ নিরাপদ!
এই অনলাইনে এখন কেবল কলসেন্টার নয়, চলে প্রাইভেট পড়ানো, আইনি পরামর্শও চলে অনলাইনে। কেবল প্রাইভেট পড়ানোর বার্ষিক বাণিজ্য ২৫ বিলিয়ন ডলার বা তার বেশি। ভারত তাদের আকর্ষণ করতে আইন বদলিয়েছে। অনেক দেশ ৫জি চালু করছে এই আকর্ষণে। আইনজ্ঞদের আইনি সহায়তা করার জন্য ভারতে রয়েছে হাজার হাজার পরামর্শক, তাদের কাজ আইন ঘেঁটে প্রয়োজনীয় কাগজ তৈরিতে অন্য দেশের অ্যাডভোকেটদের সহায়তা করা। এতে বিদেশী অ্যাডভোকেটদের খরচ কমে। ডাক্তারি পরামর্শও চলবে দেশের বাইরে। অর্থাৎ আমাদের ডাক্তার ঢাকায় বসে মালদ্বীপে রোগী দেখতে পারবে। লাভবান হবে আমাদের বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠানও। আমাদের স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলোও। অথচ এই সুযোগ আমরা হারাচ্ছি। দেশকে নিয়ে ভাবুন, নিজেকে নিয়ে নয়।
সব কথা বলার শেষে দুটি পরামর্শ। এক. দেশে বসে থেকে বিদেশে কাজ করে, তার আয় সহজে দেশে আনার নিয়ম চালু করুন। অতি দ্রুত। বারমুডা কত দ্রুত ভেবেছে দেখুন? প্রচলিত সব রীতি বাতিল করুন। আমাদের বর্তমান নিয়ম আমাকে ‘ঠগ বাছতে গা উজাড়ের গল্প মনে করিয়ে দেয়।’ দুই. দেশের হাজার হাজার বেকার যদি দেশে বসে বিদেশে কর্মসংস্থান করে নেন, তবে দেশের লাভ হয়। আমাদের দেশে থেকে বিদেশে অর্জিত অর্থ যদি তারা এ দেশেই ব্যয় করেন, তবে অর্থনীতিতে গতি ফিরবে। অন্য সেক্টরের আয় বাড়বে। আমাদের দেশেও কর্মসংস্থান বাড়বে। তাদের কর্মের সঙ্গে বিদেশ পাঠানো শ্রমিকদের আয়ের কোনো পার্থক্য নেই। তাই এদের আয়ও করমুক্ত করুন। দেখবেন তাদের আয়ই হবে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের তৃতীয় নির্ভরযোগ্য পথ।
সব শেষে আমরা রফতানিকারকদের বহু প্রণোদনা দিই, তা সত্ত্বেও তাদের অনেকেই বিদেশ টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত। বিদেশে ঘুষও তারা এখন পাঠিয়ে দেন বেগমপাড়ায়। অথচ এই যুবক দল কিন্তু দেশে টাকা আনবে। তাদের জন্য নেই কোনো প্রণোদনা। এর কারণ কী? তারা সাধারণ যুবক বলে কি? তারা সংঘবদ্ধ নয় বলে কি? কিংবা তারা সমাজের আর সব রাঘববোয়াল নয় বলেই কি? সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যখন এদের অনেকেই বিদেশে চলে যাবে। কারণ যে টাকা তারা আনতে পারছে না, বিদেশে জমাচ্ছে, তা দিয়ে নাগরিকত্ব কেনা যাবে। আশা করি, আমাদের ঘুম ভাঙবে।
ড. এ. কে. এনামুল হক: অর্থনীতির অধ্যাপক, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
পরিচালক, এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট